ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ১০ নেতাকর্মীর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও জামিন মেলেনি।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রোববার তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
আসামি ১০ জন হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল, ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল করিম সোহাগ, আসাদুজ্জামান, মোমিন আকন্দ, আরিফুল ইসলাম, মো. শিপন, রোকেয়া জাবেদ মায়া ও তাওহিদুল ইসলাম শিপন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খাদেমুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিদের নাম এজাহারে নেই। তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হয়রানিমূলকভাবে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়ছে৷ প্রায় আড়াই মাস যাবত তারা কারাগারে আটক আছেন। যেকোনো শর্তে জামিন দেয়া হলে তারা পলাতক হবেন না।
রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারি কমিশনার (এসি) ফরিদ আহমেদ জামিনের বিরোধিতা করেন৷
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে শাহবাগ থানার অপর একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৯ এপ্রিল আসামি ছিনতাই মামলায়ও তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটিতে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডেও নেয় পুলিশ।
সিএমএম আদালতে তাদের জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ মারপিট করার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে জোরপূর্বক পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই শাহবাগ থানায় বাদি হয়ে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হান কবির।
মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, সোহরাব, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়।